কথায় আছে “Morning shows the day” . সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার পর নিজেকে সামলে নিতে আমাদের বেশ কিছুক্ষণ সময় ব্যয় করতে হয়। আর কিছু সময় ব্যয় হয় চারপাশে আবহাওয়া বুঝতে। তবে শরীর ও মন যদি ভালো থাকে তাহলে দিনে বাকি অর্ধেকও ভালো থাকবে।
বিশেষজ্ঞ টিম গ্রের বক্তব্য বেশিরভাগ মানুষ যারা খুব সুন্দর জীবন অতিবাহিত করেছেন অথবা নিজেকে ভালো রেখেছেন তারা কিন্তু কয়েকটি নিয়ম মেনে চলেন এবং একেবারেই কোনো সময় নষ্ট করেন না। কোনরকম অজুহাত না দেখিয়ে নিত্যদিনের রুটিনে আবদ্ধ থাকেন। তাই প্রকৃত জীবনের যাত্রার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।
তাই শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার পাশাপাশি মানসিকভাবে সুস্থ থাকাটাও অতি গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চললে শরীর এবং মন উভয়কেই ভালো রাখা সম্ভব :
১. ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠুন: গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা ভোর করে ঘুম থেকে ওঠেন তাদের সুস্থতার হার কয়েক গুণ বেড়ে যায়। কারণ ভোর বেলার আবহাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপযোগ। পাশাপাশি এ সময় বাতাসের অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি থাকে এবং থাকে কম। ফলে প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন হতে কোন সমস্যা হয় না
২. সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে দিন শুরু করুন: সকালবেলা সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনার মাধ্যমে দিয়ে শুরু করলে শারীরিক এবং আত্মিক উভয় দিক থেকেই শান্তি পাওয়া
সম্ভব।
৩. শরীর চর্চা: রাতে দীর্ঘক্ষণ ঘুমায় থাকার ফলে আমাদের শরীরে যে অবসাদ সৃষ্টি হয়, সে অবসাদ দূরীকরণের জন্য শরীরচর্চা একটি অত্যন্ত ভালো উপায়। এর ফলে আমাদের শরীর সচল হয়, হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের হরমোন সমূহের ভারসাম্য বজায় থাকে।
৪. পর্যাপ্ত পানি পান করুন: দৈনিক সাত থেকে আট গ্লাস অথবা আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করাকে আদর্শ বলে বিবেচনা করা হয়। তবে বয়স ওজন ভেদে এর পার্থক্য হতে পারে। তাই নিজের শরীরের চাহিদা বুঝে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন।
৫. ডিভাইস থেকে দূরে থাকুন: স্মার্টফোনের যুগে এবং সাথে সোশ্যাল মিডিয়া থাকায় আমাদের অনেকের অভ্যাস হিসেবে সকাল বেলা আমরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট দেখে কাজ শুরু করি। কিন্তু মনে রাখা দরকার, এই কাজের জন্য শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি, মানসিক অশান্তি অবসাদ এবং বিভিন্ন সমস্যার প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। তাই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে মোবাইল ব্যবহার না করাই ভালো। এবং চেষ্টা করা উচিত মোবাইলে অ্যালার্ম দিয়ে না জেগে নিজে নিজে জেগে ওঠার অভ্যাস করা।
৬. প্রতিদিনের রুটিন বানান: সকালবেলা চেষ্টা করুন সারাদিনের একটি কর্মপরিকল্পনা বানানোর। এই কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কাজগুলো বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করুন। এতে আপনার জীবনের শৃঙ্খলা আনার পাশাপাশি আপনি কি সময় সচেতনও করবে। এবং আপনার কাজের প্রতি মানসিক প্রশান্তি আসবে।
এই সমস্ত নিয়ম গুলি মেনে চললে আপনার জন্য লাভদায়ক।