বর্ষাকালে, পানি ও মশাবাহিত রোগগুলি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। পুকুর এবং নালার জলে জমা থাকা পানি দূষিত হতে পারে, যা ডায়ারিয়া এবং অন্যান্য পেটের সমস্যার কারণ হতে পারে। এছাড়া, বৃষ্টির জমা পানি মশার উৎপত্তি বাড়ে, যা ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গু প্রকোপের কারণ হতে পারে।
বাংলাদেশে বর্তমানে বর্ষাকাল। ঝমঝমি বা টিপটিপে, সারাদিন বৃষ্টি পড়ে। এই মহাকালের সঙ্গে সঙ্গেই রোগ ঘরে ঢুকে। যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত এই মরশুমে তাদের ক্ষেত্রেই সর্দি-কাশির সমস্যা লাগতে পারে। এছাড়া, পানি ও মশাবাহিত রোগ ধরার জন্য ভয় সৃষ্টি হয়।
এখানে কিছু অতিরিক্ত পরামর্শ:
১) নোংরা পানি ব্যবহার করবেন না: পানি পান করার জন্য শুধু পরিষ্কার পানি ব্যবহার করুন, জামাকাপড় ধুয়ে, বাসন মোড়ার সময় জমা পানি ব্যবহার করবেন না। ঘরের ট্যাঙ্কগুলি নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
২) পেটের রোগ থেকে বিরত থাকুন: বর্ষাকালে সবচেয়ে বেশি ভোগায় পেটের রোগ। শুধু দূষিত পানি পান করলে যে পেটের গণ্ডগোল দেখা দেয়, এমন নয়। আপনি যদি নোংরা পানি মুখ-হাত পরিষ্কার করেন, স্নান করেন তাহলেও জলবাহিত রোগ দেখা দিতে পারে।
৩) বাড়ির ছাদবাগানের যত্ন নিন: বৃষ্টির জল না জমে থাকার জন্য ছাদবাগানের টব ও ভাঙা জিনিসপত্রের পরিস্থিতি সমীক্ষা করুন। সেখানে জমা পানি থাকলে মশার আঁতুড় ঘর হতে পারে, যা ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার জন্য ঝুঁকি তৈরি করে।
৪) শরীর সঠিকভাবে হাইড্রেট রাখুন: বর্ষাকালে প্রচুর পরিমাণে পানি খান। এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে সতর্ক থাকুন। ভিটামিন সি ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন, যা সর্দি-কাশির সমস্যার সঙ্গে মুক্তি দিতে সহায়ক হতে পারে।
৫) বাইরের খাবারে সতর্ক থাকুন: ভাজা-ভুনা, ফলের রস, ফাস্ট ফুড এই সময় খাবেন না। খাবার খাওয়ার সময় হাত ধুয়ে খান।
৬) পেটের সমস্যা হলে সত্ত্বর চিকিৎসা নিন: যদি পেটে অসুস্থতা অনুভব করেন, তাহলে আগে চিকিৎসা নিন। প্রয়োজনে রেহাই জনিত চিকিৎসা নিন।