সারাদিনের কর্ম ব্যস্ত শেষে যখন রাতে একটু শান্তি করে ঘুমাতে গেলেন, ঘুম থেকে উঠেই দেখলেন ঘাড়ে ব্যথা। প্রথমে মনে করলেন হয়তো উল্টাপাল্টা শোয়ার কারণে এমনটি হয়েছে। কিন্তু দুই থেকে তিনদিন যাওয়ার পর ব্যথাটি যখন কমছে না, তখন শুরু করলে নিজস্ব চিকিৎসা। সে ক্ষেত্রে পেইন বাম,মলম, স্প্রে, তেল, রোল অন এমনকি ওষুধ খাওয়া শুরু করলেন।তাতেও তেমন কোন লাভ পেলেন না। আসুন সমস্যা খুঁজি :
১. যদি ঘুম থেকে উঠে ঘাড়ে ব্যাথা অনুভব করেন ধরে দেখবেন আপনার ঘাড়ের পাশাপাশি আপনার সারা শরীরে ব্যথা হবে অসহনীয়
২. স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগ ও একটি কারণ হতে পারে। এই রোগে ঘুমের মধ্যে থাকতেই যে ক্রমে শ্বাসক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয় যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
৩. অসমতল, শক্ত কিংবা খুব নরম বাড়ি এসে ঘুমালেও সমস্যা হবে। পাশাপাশি মেজাজ, চিন্তাশক্তি এবং খাওয়ার ইচ্ছা কমে যাবে। দিনের পর দিন এই সমস্যা সমাধান না হলে ওজন বাড়বে পাশাপাশি দেখা যাবে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগে সমস্যা।
আসুন এর সমাধান গুলো দেখি :
১. বালিশ কি দিয়ে তৈরি তা আগে ভালোভাবে দেখুন।
২. ঘুমানোর প্যাটার্ন বুঝে বালিশ বিবেচনা করুন। তাদের পাশ ফিরে শোয়ার অভ্যাস তারা শক্ত বালিশ বেছে নিন। যারা চিত হয়ে অথবা পেটের উপর ভর করে ঘুমান তারা একটু নরমালিশ নির্বাচন করুন। তবে মনে রাখবেন শিরদাঁড়া সোজা করে ঘুমানোর শরীরের জন্য ভালো।
3. স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ মত সিপিএপি মাস্কযুক্ত বালিশ ব্যবহার করুন। সিপিএপি চিকিৎসার পদ্ধতি হল, যদি কারোর ঘুমানোর সময় শ্বাসক্রিয়া বন্ধ হয়ে থাকে তার জন্য একটি সহায়ক যন্ত্র বা মুখোশ থাকে। এই মুখোশ পড়ে ঘুমাতে যেতে হয়। তবে এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিগণ বালিশ নিয়ে ঘুমাতে না যাওয়াই ভালো। এদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি বালিশ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা।
৪. যদি ব্যথা অতিরিক্ত হয়ে ওঠে, তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াটা অত্যন্ত জরুরী